শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪

নিজস্ব লড়াই


প্রেম যতক্ষণ প্রেমময়; ততক্ষন প্রেমের সব কিছুই সুন্দর। ব্যসিকলি সব প্রেম মোটামুটি একই রকম মোহনীয়। তবে অন্য রকম প্রেম আছে। সম্পর্ক যখন তলানিতে ঠেকেছে; সেই তলানি গুলো হল ইউনিক প্রেম। একেকটা সম্পর্ক একেক নয়া কারণে তলানিতে ঠেকে। অর্থাৎ প্রেমে ভাইব যেমনই হোক বিচ্ছেদের ভাইব আনপ্যরালাল, রসময়, রহস্যময়।


দু'জনের বোঝাপড়ায় হয়তো সম্পর্ক'র ইতি টানছেন। যত বোঝাপড়া করুন না কেন একজন কিন্তু ঠিকই প্রতারক। সে আপনি মানেন বা না মানেন। হাজার বছরে সমীকরণ না মেলা প্রশ্ন হচ্ছে মানুষ কেন প্রতারণা করে?


দেখবেন একজন অন্যজনের কাঁধে দোষ চাপিয়ে নিজেরে নিপাতনে শুদ্ধ রাখতে যা বলার দরকার সবই বলবে৷ এই দোষাদোষি আসলে অর্ডিনারী হিউম্যান এ্যটিচুট। টু অর্ডিনারী আবেগিক জবাবদিহিতা। এসবের ভেতর সত্য'র লেশ খুব কমই থাকে। অনেকটা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের মত। 


দোষ গুন গালাগালি, হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটতে থাকুক। আপাতত দর্শন ও সাইকোলজি বিদ্যা থেকে উত্তর খোঁজা যাক। 


আত্মতৃপ্তি আর ঘ্ণিষ্টতাঃ বাংলায় জটিল শব্দ হলেও ইংরাজিতে দুটো সহজ শব্দ আছে Self Gratification & intimacy. মূলত আত্মতুষ্টির আকাঙ্ক্ষা; ইন্টিমেসির সাথে এডজাষ্ট করতে না পারলেই মুসিবত হয়। প্রেমের গুরু গঞ্জনা প্রকাশ হতে শুরু করে।

 


এসবের দীর্ঘ ব্যখ্যা আছে। জটিল না করে সারাংশ করি। সেটা হচ্ছে যখন ব্যক্তির তৃপ্তির জন্য আত্মতুষ্টির জরুরত ঘনিষ্ঠতার চেয়ে বেশি হয়, তখন প্রতারণার ঘটনা ঘটে।


আত্মতৃপ্তি চাওয়া কিন্তু খারাপ কিছু না। সব মানুষই তৃপ্তি চাই, সন্তোষ চাই। সেই সন্তোষের জন্য কেউ গান শুনে, কেউ বই পড়ে, কেউ মাস্টারবেট করতে হাত তো কেউ আঙ্গুল চালাচ্ছে, আবার কেউ সেক্স করছে। কেন করছে এসব? উত্তর হল আমরা আত্মতৃপ্তি তালাশ করছি। 

 

মানুষ হয়ে জন্মর কারনে আমরা আত্মতৃপ্তি চাই। আবার কারও ভালবাসা ঘনিষ্ঠতাও চাই। সমস্যা হল ন্যাচারালি Gratification & Intimacy দুটোই প্রাকৃতিক রিপু অথচ দুটো চাহিদা পরস্পর বিরোধী।


ধরেন আপনার পকেট সীমিত। সিনেমা দেখতে ভাল্লাগে না, রেষ্টুরেন্টের খাওয়ায় আপনার পেট নামে। কিন্তু প্রীয় মানুষের সান্নিধ্য পেতে আপনি তিন ঘণ্টা ছবি দেখছেন, রেষ্টুরেন্টের বিল মিটিয়ে ক্যন্ডেল নাইট ডিনার করছেন। - অর্থাৎ ব্যক্তির আত্মতৃপ্তির চেয়ে প্রিয় মানুষের সান্নিধ্য আপনারে বেশী টানছে। বা প্রীয় মানুষের সান্নিধ্যে আপনি আত্মতৃপ্ত হচ্ছেন। এটাই হচ্ছে প্রেম। এটাই Intimacy. 


আবার ধরেন সারাদিন মোবাইল টিপলে আপনার ভাল্লাগছে৷ আপনি জানেন এই টেপাটেপির কারনে আপনার পার্টনার মনক্ষুন্ন হচ্ছে কষ্ট পাচ্ছে; তবুও আপনি ফোন টেপাটিপি বন্ধ করতে পারছেন না। অর্থাৎ এখানে আপনার আত্মতৃপ্তি; আপনার ঘনিষ্টতার আদর পাবার ইচ্ছার কাছে বলি হচ্ছে।  

 

এভাবে যুগ যুগান্তরে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট চলে আসে সম্পর্কে। সুতরাং Gratification & Intimacy এই দু অনুভূতির ভারসাম্যহীনতা থেকেই প্রেমের প্রতারণা শুরু। 


Gratification কথাটা বিদ্রূপের মত শোনালেও অনেকে আছেন যাদের আত্মতৃপ্তি একটু বেশী বেশী দরকার হয়। তাদের কাছে ঘনিষ্ঠতা মোহ বিশেষ, আত্মতুষ্টি বেসিক নিড। এতে দোষের কিছু নেই। মানতে পারা না পারা আপনার আমার সমস্যা।


ঘনিষ্ঠতায় লাভ, নগদ নারায়ন, নিরাপত্তা, স্যোসাল ঝাকানাকা ঝনঝন টনটন না করলে খামাখা আত্মতৃপ্তি বিষর্যন দেবার কোন মানে হয় না। বিনিময় আসতে হবে। বিনিময়ে বিরাম থাকা যাবে না। স্থান কাল পাত্র ভেদে একই ধারায় বিনিময় চালাতে পারলে তবেই ইন্টিমেসি উইল বি গ্রেটার দেন সেল্ফ গ্রেটিফিকেশান।


অয়েল চেঞ্জ বলে স্যাইকোলজিতে প্রচলিত একটা টার্ম আছে। অর্থাৎ দীর্ঘ সময় বিরতীর পর আবার সেক্স করতে উদগ্রীব হয়ে নয়া পার্টনারের সন্ধানে নামা। এই যে বিরতি- এটা হচ্ছে সত্যিকারের ইন্টিমেসির অভাব। আজকের পৃথিবীতে আপনি কম কাম বেশী প্রেম থিয়োরি তে ভরসা করলেই আকাশ ভরা তারা দেখতে থাকবেন। সেপিও সেক্সুয়্যালিটি বা Sex for intellectuality ওসব এই সমাজের গতবাধা মানুষের কাছে আশা করবেন না। যারা নিজেরে সেপিও সেকচুয়াল দাবী করেন তারা জাষ্ট নিজের সস্তা ব্রান্ডিং করার জন্য বলেন। যারা আদতে সেপিও সেক্সুয়াল ওরা কখনোই এ ধরণের কথা প্রকাশ্যে বলে না।  


ইন্টেলেকচুয়ালিটির ব্যসিকটার্ম নিয়ে ঈষৎ লেখাপড়া করলে বুঝতে পারবেন কোনটা জ্ঞানগরিমা আর কোনটা জীবন মানেই জী বাংলা। 


Gratification & Intimacy থেকে Sex For Intellectually কোন বিষয়ে আসলে জাজমেন্টাল না হওয়া ভালো। ভালো জাষ্টিফাই করার অত্যাবশকীয় গুনাগুন ব্যতীত জাজমেন্টাল হওয়া আদতে কুরুচিপূর্ণ। 


তবে এও ঠিক অন্য'র ভেতরের সম্পূর্ণ গল্প আমরা কেউই জানি না। প্রত্যেকের নিজস্ব লড়াই চলে নিজ ভুবনে। Self #gratification & #intimacy যার যার তার তার। কাউরে দোষারোপ করা আমাদের কাজ না। বরং প্রতিটি প্রেম, প্রতিটি বিচ্ছেদকে যতটা স্বাভাবিক ভাবে ট্রিট করতে পারবেন ততটাই মানুষ হয়ে উঠব আমি আপনি।


প্রেমে প্রতারণা উচিত বা অনুচিত ; ঠিক না ভুল; সে সব ভিন্ন আলাপ। নীতিশাস্ত্রজ্ঞ যারা তারা সেই সিদ্ধান্ত টানবেন। এখন অপেক্ষা Until next time..



#Love #Sex 

#wasimiftekhar

মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

ইহুদি ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে রবিন্দ্রনাথ

আমি ইহুদি জাতীয়তাবাদ এবং যারা এর জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছেন, তাদের শ্রদ্ধা ও প্রশংসা করি। আপনাদের এই আদর্শ বাস্তবায়িত হওয়ার প্রক্রিয়া আমি যতটা সম্ভব,  মনোযোগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি বাস্তবিকই অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন আপনারা। কিন্তু এই মতবাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এখন আপনাদের এক অন্ধ গলিতে নিয়ে ফেলেছে। এমন গলি যেখান থেকে বেরোনোর কোন পথ নেই।এখন যদি আরব-ইহুদি সমঝোতার জন্য খোদ ইংল্যান্ডও চেষ্টা করে, তো মনে হয় না তাতে কোন লাভ হবে।আরব ইহুদি সমঝোতা ফিলিস্তিনে বসেই করতে হবে।

.

তবে আরবদের চিনি এবং মনে হয় ইহুদিরাও আমার চেনা। এ জন্যই আমার বিশ্বাস, এই দুই জাতির ভেতর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্ভব। ইহুদিরা খুব প্রাচীন জাতি। নানা ধরনের হয়রানি, অত্যাচার, অবিচার প্রতিহত করে তারা নিজেদের জাতিসত্তা রক্ষা করেছে। তাদের শক্তি নিহিত রয়েছে তাদের সংস্কৃতি ও ধর্মে। ইহুদিদের যে ঐতিহ্য তা আধ্যাত্মিক এবং সময়ের সঙ্গে তা আরো শক্তিশালী হয়। এই শক্তিকে বিলীন করা বা অন্য কিছুতে আত্মসাৎ করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে আরবরা খুব পোড়খাওয়া জাতি। তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার ইহুদিদের সঙ্গে ইহুদিদের সঙ্গে এক ও ভিন্ন উৎস থেকে এসেছে। আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে আরবরা ইহুদিদের কাছ থেকে পেয়েছে প্রচুর। আর যদি এই দুই জাতির মৌল চরিত্র দেখি, তো বলবো, আপনারা এবং তারা একই পরিবারের সন্তান। হ্যাঁ একই বৃহৎ পরিবারের। পারিবারিক বিসংবাদ সবসময়ই একটু বেশি তিক্ত হয়। কিন্তু আবার মিটমাটো তো হয়। আরবদের চেয়ে বহু দূরের বাসিন্দাদের সঙ্গে থাকার অভিজ্ঞতা আপনাদের রয়েছে। আপনাদের সঙ্গে কোনই মিল নেই, এমন জাতির সঙ্গে বসবাস করেছেন। এমনকি যন্ত্রসংস্কৃতির দেশ যে আমেরিকা, সেখানেও আপনারা একাধারে ইহুদি এবং আমেরিকান হিসেবেই বাস করেছেন। তাহলে একইসঙ্গে ইহুদি এবং ফিলিস্তিনি হিসেবে বাস করতে পারবেন না কেন? 


আপনারা যদি আরবদের এ কথা বোঝানোর জন্য মনস্থির করেন যে আপনাদের উভয়েরই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ অভিন্ন, যদি আপনারা ওদের দেখাতে পারেন, আপনাদের সব কর্মকাণ্ড আরব ও ইহুদিদের জন্যই, তা আপনাদের সাংস্কৃতিক পার্থক্য যতই হোক না-- তাহলে দেখবেন সময়ে আরবরা আপনাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধুতে পরিণত হবে।

.

ফিলিস্তিন সমস্যা লন্ডনে বসে ইংরেজ সরকার আর ইহুদিবাদী নেতাদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করা সম্ভব নয়। ইহুদিবাদের সাফল্য সর্বোতভাবে নির্ভর করে আরব- ইহুদি সহযোগিতার উপর। আরব ও ইহুদিদের সরাসরি সমঝোতার মাধ্যমেই ফিলিস্তিনে এই সাফল্য অর্জিত হতে পারে। ইহুদিবাদী নেতৃত্ব যদি ফিলিস্তিনে ইহুদিদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ আরবদের ওইসব স্বাস্থ্য থেকে পৃথক করার চেষ্টা করে, তো পবিত্র ভূমি সব সময়ই কদর্য দ্রোহে জ্বলে উঠবে।।


জিউস স্টান্ডার্ডর

রবীন্দ্রনাথের সাক্ষাৎকার 

১৯৩০



শনিবার, ৭ জুলাই, ২০১৮

কোটা সংস্কারঃ PAIN IN THE ASS


মুক্তিযুদ্ধ’ বিষয়টি আমাদের রাষ্ট্র’র জন্ম পরিচয় বহন করে। ৭১ কে হাতের মুয়া বানিয়ে ফেললে রাষ্ট্রটির জন্মকেই ফ্লুক বানিয়ে দেওয়া যায়।  অথচ কী নির্মম চাতুর্যে, আমরা মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা-দের প্রাইভেট লিমিটেড এডিসন করে দিচ্ছি।

মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত সব'চে নেক্কার জনক গল্প হচ্ছে ভুয়া মুক্তি যোদ্ধা সংক্রমণ। এর মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা দের গালে চপেটাঘাত করা হয়। গত ৪৮ বছর, আমরা মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ সংখ্যা কোন কিছু কে নির্দিষ্ট সংজ্ঞা-তে আনতে পারি নি, আনা হয় নি।


এবার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত কিছু তথ্য রাখেন।

১) যে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সমর্থক নয় সে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি ও সনদের জন্য রাজনৈতিক দলে অন্তর্ভুক্ত হয়।

২) রাজনৈতিক দল দেখছে এভাবে সমর্থক বাড়ছে, ভোট বাড়ছে। কাজেই স্বার্থ-টা রক্ষা হচ্ছে।

৩) ১৯৮৪ এরশাদ সরকার প্রণিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা তে ১,০২,৪৫৮ জন।

৪) ১৯৮৪ তে প্রাপ্ত ভারতীয় তালিকা অনুযায়ী ৬৯,৮৩৩ জন।

৫) ১৯৯৪ তে বিএনপি সরকারের তালিকা অনুযায়ী সংখ্যা টা ৮৬,০০০

৬) ১৯৯৬ - ২০০১ এ আওয়ামী লীগ আমলে সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে ১,৮৬,৭৯০ হয়। অর্থাৎ এক লাফে ১ লাখ ৭৯০ জন নয়া ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে।

৭) ৯৬-২০০১ এ “মুক্তি-বার্তা” নামে ১,৫৮,৪৫২ জনের এডিসনাল আরেক টি তালিকা করে।

অর্থাৎ আওয়ামীলীগের হাতে নব্য মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ধারী হয় ২,৫৯,২৪২ (২ লাখ ৫৯ হাজার, ২৪২ জন)

৮) ১৯৯৬ এ লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞা পরিবর্তন করেঃ

“যাঁরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়-ভাবে অংশ নিয়েছেন, তাঁরা-ই মুক্তিযোদ্ধা” -

সংজ্ঞায়িত করে।

৯) তবে ২০০৬ এ বিএনপি ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮৮৯ জনের তালিকা গেজেটে প্রকাশ করে।

কিন্তু এ যাত্রা আওয়ামীলীগ ৭০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে অভিযোগ করে। আওয়ামী লীগের দাবী মত ১,৯৮,৮৮৯ জনের ৭০,০০০ ভুয়া অর্থ ৩৫% ভুয়া। (মনে রাখেন ৩৫%)

১০) ২০০৯/১০ এ আওয়ামী লীগ
১১ হাজার নতুন মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেয়। ফলে ২ লাখ ৩২ হাজার নয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকা ভুক্ত হয়।

১১) ২০১৭ তে নতুন মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রহ’র নিমিত্ত আবেদন আহবান করে লীগ। ফলে দের লাখ নব্য আবেদন জমা হয়৷

১২) ১০১৭’ ৯ ফেব্রুয়ারি খোদ মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী বলেনঃ  

“আবেদন দেড় লাখ হলেও পাঁচ হাজার’এর বেশী নতুন মুক্তিযোদ্ধা হবে না।’


আওয়ামীলীগের চলতি আমলে ৭১ এ যে নির্যাতিত এবং নির্যাতক দু’জনে এক সাথে ‘শ্রেষ্ঠ সন্তান’ তালিকা ভুক্ত হবার ঘটনা ঘটেছে।

মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মুন্তাসির মামুনের বক্তব্য টি গুরুত্বপূর্ন । তিনি বলেনঃ

‘সরকার যদি ঘোষণা দিক মুক্তিযোদ্ধা দের বাড়তি সুবিধা দেওয়া হবে না এবং আহত ও আর্থিক ভাবে অসচ্ছল ছাড়া কাউকে কোনো সুবিধা পাবে না, তবে কাল থেকে আর কেউ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা তে নাম তুলতে চাইবে না।’


এত এত গাণিতিক ও জ্যামিতিক হিসাবের ভিড়ে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী’র বক্তব্য হিসাবে নিলেও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা অনেক কম বা ৫ %। এর সাথে বিএনপি’র তালিকা তে আওয়ামী অভিযোগের ৭০ হাজার বা ৩৫% কে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ধরলে প্রকৃত মুক্তি যোদ্ধা ৬০/৭০ হাজারের বেশি হয় না। যা মুক্তিযুদ্ধের ভারতীয় তালিকার ৬৯,৮৮৬ মুক্তিযোদ্ধা দাবীকে সঠিক প্রমাণ করে।

এবার ২০১৭’র প্রথম অর্ধের আওয়ামী তালিকা’র ২ লাখ ৩২ হাজার ও ৯৬ টার্মের ২ লাখ ৫৯০০ নিয়ে সংখ্যা হয় ৪ লাখ ৯১০০০ জন। ভারতীয় তালিকা’র ৬৯,৮৩৩ জন মুক্তিযোদ্ধা বিয়োগ দিলে হয় ৩ লাখ ৪২ হাজার ৮৮০ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা।

ভুয়া ৩,৪২,৮৮০ জন মুক্তিযোদ্ধা পোষ্য কোটা কোন রাজনৈতিক দলের কবজা তে আছে বুঝতে সমস্যা হবার কথা না। ৩,৪২,৮৮০ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য হিসাবেঃ

১ গড় = ৩,৪২,৮৮০ জন   - ফার্স্ট Gen
২ গড় = ৬,৮৫,৭৬০ জন   - 2nd Gen
৩ গড় = ১০,২৮,৬৪০ জন -  3rd Gen
হয় সংখ্যা টা

অন্যদিকে ২০১১ সালের জন-প্রশাসন মন্ত্রনালয়ের হিসাবে ছোট বড় মিলিয়ে ১০ লাখ সরকারী কর্মজীবী কাজ করেন। এই ১০ লাখ ষ্টাফের ৩০% হচ্ছে ৩,৩৩,৩৩৩ জন।

অর্থাৎ পোষ্য দের শিক্ষা গত যোগ্যতা অর্জিত হলে তারা বেশ স্বচ্ছন্দে বংশ পরম্পরা ক্রমে সরকারী চাকুরে
হচ্ছে।

এই বিপুল সংখ্যক ব্যক্তি নিয়োগে দুর্নীতি নির্মূল করতে শুধু নিয়োগ ব্যবস্থা স্বচ্ছ থাকলে-ই হচ্ছে না, বরং মুক্তিযোদ্ধা তালিকা স্বচ্ছ না হলে কোন ক্রমে এদের নিয়োগে স্বচ্ছতা আনা যাবে না।

অনিয়ম’এর মাধ্যমে এদের নিয়োগ হলে খুব স্বাভাবিক ভাবে এরা নিয়োগ কর্তা’র প্রতি অধিক বিশ্বস্ত হবে। ভুল হিসাবে বিপুল সংখ্যক স্ব-গোত্রীয় নিয়োগের মাধ্যমে প্রশাসন কুক্ষিগত করে জটিল কাজ নয়৷ এত বিপুল সংখ্যক কুক্ষিগত নিয়োগের বদলে মেধা ভিত্তিক নিয়োগ সম্পন্ন হলে প্রশাসন আইন মোতাবেক নিরপেক্ষ কাজ চলতে পারে ফলে প্রশাসন কে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক অর্জনের পথ নির্মূল হতে পারে।


এবার আপনি বলেন পোষ্য কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন একটি কুক্ষিগত রাজনৈতিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা ধরে রাখতে কতটা প্রয়োজনীয়। তাও একটি অ-নির্বাচিত স্বৈরাচারী শাষকের ক্ষমতা’র জন্য।
আপনার আমার বা পোষ্য কোটা বহির্ভূত ৩ কোটি ভোট নয় বরং পোষ্য-কোটা অন্তর্গত ৩ লাখ সংঘবদ্ধ পোষ্য কর্মজীবীর ভেতরেই রয়েছে আওয়ামীলীগে টিকে থাকার প্রাণ ভ্রমর।

ইনফোঃ
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়
মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভ
সাইদ রহমান
জন - প্রশাসন মন্ত্রনালয়
@Bbc বাংলা
পরিবর্তন.com ও
সাইদ রহমান




বৃহস্পতিবার, ৩১ মে, ২০১৮

জাঁদরেলতম ঝানু এম্বাসেডরের ডাইরিতে লেখা '#জিয়া



অস্ট্রেলিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার নিযুক্ত সাবেক মার্কিন দূত মিস্টার মার্শাল গ্রীন বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেছেন যে তার সহযোগীদের সন্দেহ সত্বেও তিনি বহু বহু পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচি নির্ধারিত সময়ের আগে সম্পাদন করেছেন। 

সম্প্রতি The Christian Science Monitor পত্রিকার সম্পাদকের কাছে পাঠানো চিঠিতে মি গ্রীণ একথা জানান। চিঠিতে লেখেন প্রেসিডেন্ট জিয়া বুঝেছিলেন যে সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে নিজস্ব সম্পদ সংগঠন করে আত্ম নির্ভরশীলতার মনোভাব নিয়ে কাজ করলে জনগণ নিজেদের জন্য বিস্ময়কর কল্যাণ সাধন এবং সকল বাধাবিপত্তি অতিক্রম করতে পারবেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে বাংলাদেশে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ওপর লেখা পত্রিকায় একটি চমৎকার সম্পাদকীয় পড়ে ১৯৮১ সালের ২০ এপ্রিল তিনি তার ডাইরিতে লিখেছিলেনঃ
রাষ্ট্রদূত ডেবিট স্নাইডার, ডঃ ফ্রেড পিংকহাম এবং আমি প্রেসিডেন্ট জিয়ার সঙ্গে এক ঘণ্টার একটি প্রয়োজনীয় আলাপ আলোচনায় মিলিত হয়েছিলাম। তাতে তিনি এই অভিমত ব্যাক্ত করেছিলেনঃ

প্রেসিডেন্ট উন্নততর ভবিষ্যতের জন্য উন্নয়ন কর্মসূচিতে যুবসমাজ এবং মহিলাদের অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেছিলেন মেয়েদের মর্যাদা সিদ্ধান্ত গ্রহণের অংশীদার করতে হবে। তিনি পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ওপর অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। আমরা তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে খুব বেশি বাধা আসবে কিনা জবাবে তিনি বলেছেন হ্যা বিরোধিতা কিছু আছে বইকি কিন্তু যখন দেখবেন বিরোধিতা হচ্ছে তখন বুঝবেন আপনার সঠিক কিছু করছেন। তিনি সত্যি সত্যি সঠিক কিছু করেছিলেন।

জন এইচ সুলিভান :
ওয়াশিংটন পোস্টে সম্পাদকের কাছে পাঠানো আর এক চিঠিতে আন্তর্জাতিক সংস্থার এশিয়া ব্যুরোর সাবেক প্রধান জন এইচ সুলিভান লিখেছেন "২ রা জুন পোষ্টের শিরোনামের বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ডের ঘটনার অনভিপ্রেত ও খবর পাই।
তিনি লিখেছেন প্রেসিডেন্ট জিয়া ছিলেন একজন সুবিদিত নেতা তিনি নিরলস প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশের এক কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন দেশকে স্বনির্ভর করতে, চেয়েছিলেন জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করতে। তিনি লিখেছেন কার্টার প্রশাসনের আমলে ১৯৭৭ সালে আইডিএর এশিয়ার প্রধান হিসেবে আমার তার সাথে দেখা করার সুযোগ হয়েছিল। আমি তাকে বলেছিলাম আগামী মওসুমে রোপণের জন্য আপনার কর্মকর্তারা এখনো গম বীজ সংগ্রহ করেননি। সেদিনই রাতে এক সামাজিক অনুষ্ঠানে কৃষি বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছিলেন তারা অবিলম্বে বীজ সংগ্রহ করছেন।




রবিবার, ১৩ মে, ২০১৮

স্যাটেলাইট & জামিলের চিঠি

শুরুতেই "বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ শুভেচ্ছা ও অভিন্দন। বিষয় এই যে গত কয়েকদিন যাবত অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের ব্রেকিং নিউজ প্রচার হচ্ছে। অর্থনীতিতে অতটা সক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও মোটা অংকের বৈদেশিক ঋণের সহায়তায় এই ব্যয়বহুল স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনে উদ্দেশ্য বিদেশি ট্রান্সপন্ডার ব্যবহারের কারণে কোটি কোটি বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় বন্ধ করা। উত্তম উদ্যোগ,  চলুন ঋন করে ঘি খাওয়া যাক।

যদিও Made in Bangladesh সীল ব্যতীত অর্জনের কোন ইনার ভ্যলুজ নাই।

খরচের প্রাপ্ত সামারিঃ
১.০) মোট খরচঃ ২ হাজার ৯০২ কোটি
১.১) সরকারি ফান্ড ১ হাজার ৫৪৪
১.২) HSBC ১ হাজার ৩৫৮
বা 157million euro.loan.
১.৩) ইন্টারেষ্ট রেটঃ 1.51%
১.৪) প্রিপ্রডাকশন বাজেটঃ https://goo.gl/LPvFZS

প্রথম আলো & The Daily Star
https://goo.gl/R7q4Rc
https://goo.gl/CzrnJU

কিন্তু দূর্ভাগ্য আমাদের অবস্থান ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা রেখাতে হলেও স্যাটেলাইট বসানো হয়েছে ১১৯.১ ডিগ্রি পূর্বে।

তাই ঢাকঢোল পিটানো বাদ দিয়ে  মাথার উপর ভাসমান বিদেশি স্যাটেলাইট ব্যবহার বন্ধ করে "বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট
ব্যবহার করে ব্রেকিং নিউজ প্রচার কর।

কি সাহস আছে? যত্তোসব!!!

ইতি
Jamil Sikder Sazzad

মা দিবস

Emotion Corporation Ltd

মা দিবসে ফেলানি ও তনুকে অভিন্দন, মা হবার স্বপ্ন যাদের খতম হয়েছে। মা দিবসে মেঘ কে শুভেচ্ছা, যে তার মা রুনিকে আর উইস জানাবে না। মা দিবসে সোফিয়াকে শুভেচ্ছা, যে মাতৃত্বের প্রগ্রাম লোড সাপেক্ষ যে কারো মা হতে পারে।

তবে সুমাইয়ার কথা টানবেন না। মায়ের পেটে গুলি করার কারনে যদি গর্ভের শিশু গুলি বিদ্ধ হয়, সে দায় মোটেও বন্দুক বাজের নয়। এবার পরিচিত হই এক মহান মাতৃপ্রেমি ছাত্রলীগের সাথেঃ
http://bit.ly/sum0n-Sen
চিনছেন এই মহান সেন কে?

যে মা গর্ভ ধারণ করেছিল, শিশু গুলিবিদ্ধ হবার দায়দায়িত্ব সেই মাকেই নিতে হবে।

১৮ অগাষ্ট' ২০১৫
https://bbc.in/2Gb0QD2
২০ জুন ১৬
http://bit.ly/2ICrVEo
মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধঃ ছাত্রলীগ নেতা জামিনে মুক্ত

ক্ষুধার্ত শুয়োরের সামনে যা আসবে সে তাই খাবে, এটা কে বলা হয় শুয়োরাধীকার।

ধরুন জংগল ভ্রমনে গিয়েছেন আপনি,  জংগলে কোন গন্ডার আপনাকে আহত বা নিহত করলো।

তবে কি গন্ডারের নামে মামলা হবে, গন্ডার নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নামবে মণিরুল্লাহ বাংলা টিম? গন্ডারকে রিমান্ডে নেবেন, গন্ডারকে ফাঁসির দঁড়িতে ঝুলাইবেন?

না, তা হবে না, কারন জংগল, জানোয়ারদের দুনিয়া। সেখানে জানোয়ারের আইন-ই আইন। বরং জানোয়ার টেরিটরিতে অবৈধ প্রবেশের দায়ে উল্টো আপনাকে জরিমানা করা যেতে পারে।

গুলি বিদ্ধ মায়ের, শিশুর শরীরে যে গুলি বিদ্ধ হয়েছে, তা ক্ষুধার্ত জানোয়ারের বুভুক্ষু নিশানা মাত্র।

জানোয়ার রাজ্যে, জানোয়ার আইনে জানোয়ারদের জামিন না হবার কোন কারন নেই। জানোয়ার অভয়ারণ্যে চলাফেরা করা সকল জানোয়ারের আজন্ম অধীকার।

জানোয়ারাধীকার রক্ষিত হোক।।

সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮

বিপ্লবের পলাতক তবলচীম।

তখন ৯০ পূর্ব উত্তাল দিন। সাল মাস দিন মনে পরে না। প্রতিটি সকাল ছিল মিছিলের, প্রতিটি রাত ছিল টি-ষ্টলে দাঁড়িয়ে দল বেধে BBC বাংলা রাতের অধিবেশন থেকে আমি গিয়াস কামাল চৌধুরী...

  


আমি স্কুল গোয়িং বালক। আমার কাজিন, তার লেখাপড়াতে মন ছিলনা। সারাক্ষণ রাজনীতি আর মারপিট, উড়ু উড়ু মন, প্রেম প্রেম ভাব, সবার মুখে চুনকালি মাখিয়ে ম্যাট্রিকে ফেল করলো তিন বার।

জরুরী পারিবারিক মিটিং ডাকা হল, আমরা ছোট কাজিনরা ঈদ ঈদ অনুভূতি নিয়ে বড় কাজিনের শাস্তি দেখতে অপেক্ষা করছি। বড় আনন্দের দিন আজ।

সিদ্ধান্ত এলো - এর দ্বারা বিদ্যার্জন সম্ভব না, একে কাজে লাগিয়ে দাও। আমরা আকাঙ্ক্ষিত একসান না দেখে হতাশ হলাম। এ বিচার বিচার নয়, নূন্যতম
Skype কেলেঙ্কারি না হলে সে আবার বিচার হয় নাকি!


তবে কাজিনকে বিজনেসে ঢুকানো যাবে না, অশিক্ষিত, উড়াধুরা ছেলে ব্যবসাতে এলে দুর্নাম রটে যাবে। পরিবারের মানী টাইটেল ধুলায় লুটোপুটি খাবে।

অগত্য ভাই কে সমূচিত শিক্ষা দিতে শহর থেকে দূরে একটা দোকানে চাকুরী দেওয়া হল। দোকানের মালিক মূল কাহিনী জানে না। সে ধরেই নিলো, এতবড় মানুষের ছেলে চাকরী করছে আমার দোকানে এতো পরম ভাগ্য। দোকানদার কাকা'র গদগদ ভাবের কমতি নেই। এলাকার মুরুব্বি, কমিশনার, মেম্বার, হেড মাষ্টার সবাইকে দোকানে দাওয়াত দিয়ে ব্রান্ডিং করে। এই সুযোগে আগত মেহমানদের মগজ ধোলাই দেবার সব চেষ্টা চালিয়ে যায় নির্বাসিত কাজিন।

কিন্তু আল্টিমেট ফলাফল কাজ ছাড়াই মাসে মাসে বেতন উত্তোলন আর আগত ক্রেতাদের মগজ ধোলাই। ক্রমে ক্রমে সেই দোকান হয়ে উঠতে থাকলো লোকাল রাজনীতির সংসদ।

ধূর্ত কাজিন ধরে ফেলেছে তার আরামের শানে-নজুল। ফলে তার নখরা বেড়ে গেলো দ্বিগুণ। আগত অতিথিদের চমকে দিতে এটে ফেলতো বিচিত্র সব ফন্দীফিকির।

ওদিকে দেশ তখন উত্তাল তাই বাড়ির লোকেরাও চাচ্ছে না সে চাকরী ছাড়ুক।

এই সুযোগে ভাই আমার একটা ছোট খাটো ফর্দ ধরিয়ে দিলো দোকান মালিক কাকা কে।

তাকে রাখতে হলে তার জন্য প্রতিদিন ২ পিস 555 cigarettes সকাল বিকাল সন্ধ্যাতে গেদুর গরুর দুধের চা আর পাক্ষিক যায়যায় দিন পড়তে দিতে হবে।

555 সিগারেট ব্যতীত অন্য দুটি দাবী পূরন হয়েছিলো তখন, তবুও তাকে ধরে রাখা সম্ভব হয় নি। কেউই তাকে বন্ধনে আটকে রাখতে পারিনি।

তখনকার ৮ দলীয় জোট নেত্রী শেখ হাসিনার উপর শফিক রেহমানের লেখা কোন একটা ফিচার খুব হিট করেছিল। যা পড়ার পর বখাটে কাজিন আর ঘরে থাকতে পারেনি, দোকানে বসে রাজনৈতিক মগজ ধোলাই স্থগিত করে খুঁজে নিতে চাচ্ছিল অর্থপূর্ণ কিছু!

এরপর সে ঘর ছেড়েছিল, পথে নেমেছিল, ঢাকার রাজপথ ধরে.......কমলাপুর রেল ষ্টেশন, টিটি পাড়া বস্তি আরো কত কোথাও......দীর্ঘ ঘর ছাড়া সময়ে কয়েকবার কেউ কেউ দেখেছে তাকে।

একটা সময়ের পর আর খুঁজে পাওয়া যায়নি বখাটে ভাইকে। দীর্ঘ নিখোঁজের পর, একদিন তার রক্তার্ত শুষ্ক লাশ পৌঁছল ছোট্ট শহরের সবুজ লনে।

হাজারো মানুষের চোখের জল আহাজারিতে আবার কানায় কানয় পূর্ণ হল দোকানপাট, হাট বাজার।

অনেকের সাথে কাজিন হত্যার বিচার দাবী করলেন শেখ হাসিনা...তীব্র নিন্দা, ঘৃনা জানালেন! প্রিয় কাজিন ফিরে এলো হাতে আকা ছবি হয়ে যায়যায় দিনের খবরের পাতায়।

আজ রেসের ঘোড়া পথ ভ্রান্ত...'যায় যায় দিন' হারিয়ে গিয়েছে। আজ হতে ৩ বছর আগে তিনি শফিক রেহমান নিজেই নিক্ষিপ্ত হলেন স্বৈরাচারের কারাগারে, শেখ পরিবার নিমিত্ত।


হৃদয়ে রক্তক্ষরনের মত History returns -- ধ্রুব সত্য।

আরো নির্মম সত্য Same old story in many mode আদলে আরো একজন শফিক রেহমান জন্ম নেবে, আরো একজন বখাটে কাজিন জন্ম নেবে, আরেক টা প্রাণ ওষ্ঠাগত হবে, আরো
একটা স্বৈরাচারের পতন হবে।

এক স্বৈরাচারের পতন হবে
এক স্বৈরাচারের পতন হবে
এক স্বৈরাচারের পতন হবে
এবং আবারো আরো
এক স্বৈরাচারের পতন হবে
হবেই...

বুধবার, ২১ মার্চ, ২০১৮

কেস ষ্টাডি: যথাযথ কতৃপক্ষ

*অমিমাংসিত কেস স্টাডি ১

ভারতীয় অর্থমন্ত্রী বললেন যুদ্ধের আগের ১০০ কোটি টাকা, বাংলাদেশ সরকারের পাওনা আছে। প্রধানমন্ত্রী চান, টাকাটা আপনাদের যতদ্রুত সম্ভব পাঠিয়ে দিতে।

সামনে আমার নির্বাচন। অনেক টাকা দরকার, ট্রাকে করে পাঠিয়ে দিন..

দেখুন আমাদের ব্যাংকিং সিস্টেমের মধ্যদিয়ে চলতে হয়, টাকা তো ট্রাকে পাঠানো যাবে না। ব্যাংকিং চ্যানেলেই টাকা পাঠাতে হবে। আপনার অর্থ মন্ত্রনালয়কে বলুন ব্যাবস্থা করতে। আমরা সহযোগিতা দেবো।

না না ঐ সব লাগবে না, আমার ব্যাংক ফ্যাংক কিছু নেই। ট্রাকেই টাকা পাঠান...

*অমিমাংসিত কেস স্টাডি ২
ইন্ডিয়ান প্রাইম মিনিস্টার মনমোহন সিং এর ঢাকা সফর। তিস্তা চুক্তির খসড়া প্রস্তুত। রাত ১২টা নিউজ স্ক্রলে খবর পাওয়া গেলো তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না।

পররাস্ট্র মন্ত্রী দিপুমনি চুক্তি না হবার সম্ভবনা কিছুই জানতেন না। তিনি দৃঢ় কন্ঠে সাংবাদিকদের বললেন সব বাজে কথা, চুক্তি হচ্ছে বাকি ঘটনা সবাই জানেন।

*অমিমাংসিত স্টাডি ৩
ঢাকা এয়ারপোর্টে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি প্রবেশ করলেন , নাম মো: ওয়াকাস; উচ্চতা ৬" ; ওয়াকাস কাজ করতো পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা ISI এর পক্ষে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াকাস বাংলাদেশে লুকিয়ে ছিলেন। নেপাল হয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ‘র’-এর জালে বন্দী আটকে যায়।

প্রশ্ন হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের এয়ার পোর্ট থেকে 'Raw' কিভাবে একজন বাংলাদেশে ভ্রমণকারীকে গ্রেফতার করে ইন্ডিয়া নিয়ে গেলো?

*অমিমাংসিত স্টাডি ৪
জনপ্রিয় স্বাধীনতা পন্থী উলফা নেতা, অনুপ চেটিয়াকে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করলো ভারতীয় বাহিনী। অফিসিয়ালি বাংলাদেশ সরকারের হেফাজতে থাকা ঐ অবৈধ আশ্রয় নেওয়া বিদেশী নেতা, মুক্তির সাথে সাথে কিভাবে প্রশাসনের সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্তরেখা বরাবর পৌঁছে গেলো, রাস্ট্রের কাছ থেকে গ্রহণ যোগ্য উত্তর পাওয়া গেলো না।

এবার আসুন বাংলাদেশ ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে।

*অমিমাংসিত কেস স্টাডি ৫
কদিন আগে যে ভারতীয় ব্যক্তি, ভল্ট থেকে টাকা চুরি করে ধরা পরেছিল, তাকে কেন আইনের আওতাভুক্ত করা হয় নি?

*অমিমাংসিত কেস স্টাডি ৬
ফেডারেল ব্যাংকে সংরক্ষিত বাংলাদেশের অর্থ ভাঁওতাবাজি করে চুরি করা হলো। অর্থমন্ত্রী; বক্তব্যতে ধামকি দিলেন তাকে জানানো হয় নি; তিনি ব্যাবস্থা নেবেন।

পক্ষান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিউত্তর দিলো যেখানে জানানো দরকার, সেখানে তারা জানিয়ে ছিলো।

উপরের সব গুলো ক্ষেত্রেই সম্পর্কিত মন্ত্রীদের বক্তব্য ছিল, তারা ব্যাপারটা জানেন না।

অন্যদিকে সব গুলো ক্ষেত্রেই প্রশাসনের বক্তব্য ছিল ; তারা যথাযথ কতৃপক্ষকে জানিয়ে ছিল।

এবার X-Files ; investigate এর দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে!

নামকরণের রাজনীতি

বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলে পরিচয়।

দু'পাড়ের এক পাড় সিরাজগঞ্জ, হযরত এনায়েতপুরী'র স্মৃতি বিজড়িত। অন্য পাড়ে মজলুমের কমরেড Red মওলানা ভাসানী'র আখড়া।

যমুনা'র দু'পাড়ে ভাসানী এবং এনায়েতপুরী নামে নামকরণের জোর আবদার ছিল। দু'পাড়ের মানুষের বহু যুগে না পাওয়া আবেগ নিয়ে নাড়াচাড়া  করা, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জন্য স্পর্শকাতর বৈকি।

ধূর্ত রাজনীতিবীদরা মানুষের এহেন আবেগে আগুন দিতে পিছুপা হয় না। পক্ষান্তরে রূঢ় সত্য হচ্ছে অনুভূতি প্রবণ ও দায়িত্বশীল নেতারা এসব সময়ে মধ্যমা আঙুল প্রবিষ্ট করান না। ফলে নাম করণে কোন পক্ষকে পুরোপুরি জয় করা আর হয়ে উঠে না। তবে লংটার্মে ন্যায়নীতি ও অনুভূতি বোধ জয়ী হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভাতে এ সেতুর নামকরণ সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাব আলোচিত হয়। নাম করণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বেগম জিয়া'র উপর ন্যাস্ত হলে তিনি বলেনঃ

'উনারা দু’জনই সর্বজন শ্রদ্ধেয়। তাই উনাদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখুন। এক  নামে সেতু হলে তা অন্য তীরের মানুষের মনোকষ্টের কারণ হবে। তাতে গুণীজনেরা অযথা বিতর্কিত হবেন। এরচে যে নদীর  উপর সেতু হচ্ছে, সেই নদীর নামেই নামকরণ হোক'।

সেদিনই অফিসিয়ালি 'যমুনা বহুমুখী সেতু' নাম করণ করা হয়।

এরপর ক্ষমতার পালা বদলে সেতু উদ্বোধনের দায়িত্ব বর্তায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের হাতে। নিয়তির পরিহাসে এ সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধনী দিনে দেশব্যাপী সহিংস  হরতাল পালন করেছিলেন তিনি।

২৩ জুন' ১৯৯৮ঃ শেখ হাসিনা সেতু উদ্বোধন করেন। দুপাড়ের মানুষের আবদার আবেগের তোয়াক্কা না করে নিজ দলের জনপ্রিয় নেতা, সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজনীতিবীদ শেখ মুজিবুর রহমানের নাম অনুসারে ৪.৮ কিমি লম্বা, ১৮.৫ মিটার প্রস্থের সেতুটিকে "#বঙ্গবন্ধু_সেতু" নামকরণ করেন।

সাথে সাথে জাতীয় প্রত্যাশা ও জন মানুষের অংশীদারিত্বে প্রস্তুতকৃত যমুনা সেতু দলীয়করণ ও দলবাজির প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শণ শুরু হয় ||

বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

জিয়া যেভাবে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানালো

বাংলাদেশ স্বাধীন ছিল মাত্র ২৩ থেকে ২৪ দিন। দিনের হিসাবে ডিসেম্বর ১৬,২৯৭১ থেকে জানুয়ারি ৯'১৯৭২ পর্যন্ত। এই সময়ে কোন পত্রিকাতে সিঁধেল চুরি, গরু চোর, পকেট মার, পিক পকেটিং এসবের নিউজ হয়নি। রক্তার্ত লড়ায়ে সদ্য স্বাধীন ভূমি অর্জনকারী রাষ্টের জনগনের মনে যেমন অনুভূতি থাকে, সবার মধ্যে সে ধরণের অনুভূতি কাজ করছিল তখন।

এত রক্ত, এত ত্যাগ, 

মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে যে দেশটা স্বাধীন হতে যাচ্ছে, 

সে দেশে আমরা সবাই মিলে খাবো, পড়বো, সবার ঘরবাড়ি থাকবে, সবার চিকিৎসা হবে, শিক্ষা হবে, সবার কর্ম সংস্থানের ব্যাবস্থা হবে।   

 

আইসা (১০ জানুয়ারি) শুরু হল লুটপাটরিলিফ চুরি, কম্বল চুরি, টিন চুরি এগুলি...


প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বে এই ২৪ দিন(১৬ ডিসেম্বর- জানুয়ারি ৯) ছিল বাংলাদেশ টা স্বাধীন। বিভিন্ন জেলা গুলোতে মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন জেলার দায়িত্বে। 

বঙ্গবন্ধু আসার পর, জানুয়ারি ১০, ১৯৭২ এর পর যে এসপি, পাক আর্মীর কাছে একদল মুক্তিযোদ্ধাকে ধরিয়ে দিয়েছে, যে ওসি একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ধরিয়ে দিয়েছে, যে পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছে, বঙ্গবন্ধু আবার তাঁদের পোস্টিং দিলেন। যেমন #গাজীপুরে প্রবাসী সরকারের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রশাসক ছিলেন জিন্না পাঠান। বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি আসার পরে জিন্না পাঠান আর থাকলেন না, মুক্তিযোদ্ধারা আর থাকলো না।  

খুলনাতে দায়িত্বে ছিল কামরুজ্জামান টুকু, টুকু আর থাকলেন না। তাঁর অর্থ 

পাকিস্তান আর্মীকে যে প্রশাসন সাহায্য করেছে তাঁদেরকে আবার আনা। তাঁর অর্থ পুরাতন আইন-কানুন এগুলো দিয়ে আবার রাষ্ট্র পরিচালিত হতে থাকলো। নামে আমরা স্বাধীনতা পেলাম, ভৌগোলিক এলাকা পেলাম কিন্তু আইন-নীতি প্রশাসন ব্যাবস্থা রয়ে গেলো ঔপনিবেশিক আমলের। রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ভাষাতে আভ্যন্তরীণ পরাধীনতা।   

 
মানে আগে ছিলাম বিদেশী দের দ্বারা পরাধীন, এখন হয়ে গেলাম দেশীয় লোকদের দ্বারা পরাধীন। আমরা দেখলাম যে দেশ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন হল, পাকিস্তানীরা আত্মসমর্পন করলো তাঁদের বিচার হল না, ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হল।

সাক্ষাৎকার
আসমঃ আব্দুর রব
প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তলোক
নিউক্লিয়াস সদস্য, মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক। 

Document: আব্দুর রবের সাক্ষাৎকার থেকে Sound cloud ক্লিপ সংযুক্ত।  #Youtube এ পূর্ণাংগ VIDEO পাবেন।

https://soundcloud.com/wasim-bonol/a-s-m-abdur-rob-3munites

সামহয়ারইনব্লগঃ
http://www.somewhereinblog.net/blog/Hismastervoice/30230816